অনলাইন ডেস্ক : রোববার চট্টগ্রামে বিএনএ ফ্লোটিলায় রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ মিডশিপম্যান-২০১৫ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় নৌবাহিনীর জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জলসীমায় নজরদারি বাড়াতে আরও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার ক্রয় প্রক্রিয়াধীন। অবকাঠামোগত উন্নয়নে পটুয়াখালীতে এভিয়েশন সুবিধা সম্বলিত নৌবাহিনীর সর্ববৃহৎ নৌঘাঁটি ও ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নৌঘাঁটি নির্মাণের কাজ চলমান।
নৌবাহিনীর নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্বে আত্মনিয়োগ করবে। একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য হিসেবে সর্বদা ঊর্ধ্বতনদের প্রতি আনুগত্য ও অধস্তনদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করবে। চেইন অব কমান্ড মেনে চলার মধ্য দিয়ে নৌবাহিনীকে বিশ্ব দরবারে আরো গৌরবোজ্জ্বল আসনে অধিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে।’
তিন বছর মেয়াদি মিডশিপম্যান কোর্স সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন করার মাধ্যমে এ বছর ২১ নারীসহ ১০৪ জন কর্মকর্তা নৌবাহিনীতে কমিশনিং লাভ করেন। এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজের। সেখানে অংশ নিতে বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের নেভাল একাডেমিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নৌঘাঁটিতে এসে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রীকে নৌবাহিনীপ্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আবু আশরাফ তাঁকে স্বাগত জানান। সেখানে পৌঁছেই প্যারেড পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে সশস্ত্র সালাম জানান কমিশন পাওয়া নবীন কর্মকর্তারা।
মিডশিপম্যানদের চমৎকার কুচকাওয়াজ দেখে মুগ্ধ হওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমাদের প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল তারুণ্য জাতিকে আশান্বিত করেছে। তোমাদের অভিভাবকদেরও অভিনন্দন জানাই। তোমাদের সফলতার গৌরবময় অংশীদার তারাও।